এ কে ৪৭ – পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ানক মারণাস্ত্র সম্পর্কে জানুন

ডাক নামঃ একে ৪৭
গুলির মাপঃ ৭.৬৯ মিমি x ৩৯ মিমি
ধরনঃ গ্যাস অপারেটেড
দৈর্ঘ্যঃ ৮৭০ মি মি [নলের দৈর্ঘ্যঃ ৪১৫ মি মি]
ওজনঃ ৪.৩ কেজি [খালি]
মিনিট প্রতি গুলিঃ ৬০০ রাউন্ড
সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি এম ১ গ্যারান্ড
রাইফেলের ডিজাইন দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে মিখাইল কালাশনিকভ নামের এক
রাশিয়ান যুদ্ধাহত সার্জেন্ট একটি সেমি অটোমেটিক কার্বাইন বন্দুক এর নকশা
করেন। তিনি তখন চিকিৎসাকালীন ছুটিতে ছিলেন। যা কিনা খুব একটি কার্যকর নকশা
ছিল না। তবে এই ব্যর্থ নকশা থেকেই ধীরে ধীরে তৈরি হয় একে সিরিজের ভিত্তি।
প্রথমত যে একে ৪৬ তৈরি করা হয়েছিল সেটিও
সেই সময়কার এবি ৪৬ [automatic bulkin] রাইফেল এবং এডি ৪৬ [automatic
dementiev] এর সাথে পাল্লা দিয়ে টিকতে পারল না। কিন্তু এত বার ব্যর্থ হলেও
হাল ছাড়েন নি কালাশনিকভ। তিনি সহকারী ডিজাইনার যাইৎসভ এর সাথে মিলে
সম্পুর্ণ নতুন একটি নকশা তৈরি করেন। যাতে ছিল বোল্ট ক্যারিয়ারের সাথে
যুক্ত দীর্ঘ গ্যাস স্ট্রোক পিস্টন , নিরাপত্তা লিভার যা কিনা রেমিংটন ৮
রাইফেল থেকে কপি পেস্ট করা, বোল্ট গ্রুপ ও রিসিভার ওয়ালের মাঝে বড় জায়গা
রাখা যেটি কিনা এবি ৪৬ থেকে মেরে দেওয়া ইত্যাদি।
অতঃপর ১৯৪৭-৪৮ তে তিনটি প্রতিদ্বন্দ্বী
নকশার বন্দুককে একত্রে পরীক্ষা করা হয়। এতে ছিল এডি ৪১০ [Dementiev
KB-P-410], এ বি ৪৭ [Bulkin TKB-415] এবং সকলের পরিচিত একে ৪৭। এবি ৪৭ এর
লক্ষ্যভেদী ক্ষমতা একে ৪৭ থেকে বেশি হলেও সোভিয়েত সরকার দীর্ঘস্থায়িত্ব
এবং নির্ভরযগ্যতার কারনে একে ৪৭ কে তাদের পছন্দের রাইফেল হিসেবে
অন্তর্ভুক্ত করে । ১৯৪৮ এর মাঝামাঝিতে ইজমাশ কারখানায় শুরু হয় এর উৎপাদন
যা কিনা এখন অব্দি পৃথিবীর বহু দেশে চলছে।
প্রথম একে ৪৭ মডেল
১৯৪৯ এর মডেল
১৯৫৩ এর মডেল
একে ৪৬ এর প্রটোটাইপ
এবি ৪৬ মডেল
পরবর্তীতে এর নকশার মান উন্নয়ন ও পরিবর্তন দ্বারা বিভিন্ন মডেল তৈরি করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন